Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

একনজরে

পেকুয়া উপজেলা ২০০২ সালের ২৩ শে এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়। কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ২৫ টি ইউনিয়ন হতে ০৭ ইউনিয়ন আলাদা করে নবগঠিত পেকুয়া উপজেলার সৃষ্ঠি হয়। পেকুয়া উপজেলার আয়তন ১৩৯.৬৮ বর্গ কিলোমিটার। পেকুয়া উপজেলার পশ্চিমে কুতুবদিয়া উপজেলা, দক্ষিণে মহেশখালী উপজেলা, পূর্বে চকরিয়া উপজেলা এবং উত্তরে বাশঁখালী উপজেলা অবস্থিত। পেকুয়া উপজেলার মানুষ সাধারনত চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। এই উপজেলায় নৃতাত্বিক রাখাইন জনগোষ্ঠী বসবাস করে। যাদের ভাষার প্রভাব স্থানীয় ভাষায় লক্ষ্য করা যায়। পেকুয়া উপজেলাটি ভোলা খালের মাধ্যমে দ্বিখন্ডিত হয়েছে। নদীর দুই তীর পানি উন্নয়ণ বোর্ড কর্তৃক বেড়ী বাধ নির্মাণ করা আছে। মাতামুহুরী এবং পেকুয়া উপজেলার পাহাড়ী ছোট ছোট নদী হতে ভোলার খালের উৎপত্তি। এটি শিলখালী, বারবাকিয়া, পেকুয়া, মগনামা, উজানটিয়া দিয়ে মিলেছে বঙ্গোপসাগরে। এক সময় এ নদীই ছিল পেকুয়া উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। বর্তমানেও সীমিত আকারে এ নদীর মাধ্যমে একস্থান থেকে অন্যস্থানে মালামাল পার করা হয়। তাছাড়া এই নদীর উপর বর্তমানে শীতকালীন সবজি ও ধান চাষের সুবির্ধার্থে একটি রাবার ড্যাম বসানো হয়েছে । বর্তমানে এই  নদীর পানি দ্বারা কৃষিকাজ করা হয়। অধিকন্তু এই নদীতে অনেক মাছ পাওয়া যায়। সমুদ্রতীরবর্তী হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষ প্রাচীনকাল হতেই দুর্যোগী এবং উত্তাল সাগরের সাথে সংগ্রাম করে টিকে রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই পেকুয়া উপজেলার  জনগোষ্ঠী খেলাধুলা ও বিনোদন এর ব্যপারে আগ্রহী। এখানকার জনপ্রিয় খেলার মধ্যে বর্তমানে ক্রিকেট ও ফুটবলের আধিপত্য দেখা গেলেও অন্যান্য খেলার মধ্যে বলী খেলা (কুস্তি) পিছিয়ে নেই।  প্রতি বছর বৈশাখ মাসে বিভিন্ন ইউনিয়নে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয় । পেকুয়া উপজেলায়  বেশ কয়েকটি খেলার মাঠ রয়েছে এর মধ্যে পেকুয়া উপজেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স,  বারবাকিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ উল্লেখযোগ্য। অনেক বিখ্যাত জ্ঞানী-গুণী লোকের জন্ম এ পেকুয়া উপজেলায় । শিক্ষা সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় ক্রমান্বয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের দোড় গোড়ায় সরকারি বেসরকারি সেবা দ্রুত পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে পেকুয়া উপজেলা অগ্রনী ভূমিকা পালন করছে ।